Sunday, November 6, 2016

Monday, August 15, 2016

মাসকারা ব্যবহার এর টিপস

অনেক সময় মাসকারা টিউবের ভিতরের
লিকুইড অংশটি জমে যায়। যা ব্যবহার করার
সময় সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা দূর করতে
ব্যবহারের আগে মাসকারা টিউবটি গরম
পানিতে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। দেখবেন
আগের মতো জমাট অংশটি আবার তরল হয়ে
গেছে এবং ব্যবহার করতেও অনেক সুবিধা
হচ্ছে।

বেরেস্তা মুচমুচে করার পদ্ধতি

টিপস :- বেরেস্তা মচমচে ও সংরক্ষণ করার পদ্ধতি...
উপকরন :-
দেশি পেয়াজ ছোট সাইজের
তেল পরিমান মতো
কাঁচের বয়াম
যেভাবে করতে হবে :-
- পেয়াজ অবশ্যই দেশি এবং ছোট সাইজের নিতে
হবে ।
- পেয়াজ খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে ধারালো
বটি বা চাকু দিয়ে খুব মিহি করে কুচি করতে হবে ।
- কুচি গুলো সব কাছাকাছি হতে হবে । কোনটা
মোটা কোনটা বেশি চিকন করলে অর্ধেক পুড়ে
যাবে বাকি অর্ধেক নরম থাকবে ।
- কুচি করা হলে পেয়াজের দ্বিগুণ তেল দিয়ে গরম
করে পেয়াজ কুচি দিয়ে দিন ।
- অল্প তেলে ভাজলে অনেক সময় নরম থাকে ।
- মাঝারি আচে ২-৩ মিনিট ভাজুন ।
- ভাজার শেষের দিকে কম আচে ভাজবেন ।
শেষের দিকে খুব দ্রুত কালার হতে থাকে ।
- স্মপুর্ন বাদামি কালার হওয়ার আগেই চুলা থেকে
নামিয়ে অন্য একটি পরিষ্কার কাঁচের পাত্রে তুলে
ফেলুন ।
- বাদামি কালার হয়ার আগ পর্জন্ত চুলায় রাখলে পুড়ে
যাবে তিতা লাগবে ।
- গরম ভাপ চলে গেলে পরিষ্কার কাঁচের বয়ামে
বেরেস্তা ভরে মুখ বন্ধ করে রাখুন ।
- বড় পেয়াজ দিয়ে করা যাবে না , চিনি বা লবন দেয়া
যাবে না ।
যেসব খাবারে ব্যাবহার করা যাবে :-
পোলাও , বিরিয়ানি , রোস্ট , হাড়ি কাবাব , কাবাব সহ
আরো অন্যান্য খাবারে ব্যাবহার করা যাবে ।

Thursday, August 4, 2016

মাত্র ২ মিনিটে ঠোট গোলাপি করার উপায়

উপকরন ১. কাঁচা দুধ ২. হলুদ(আমরা যে হলুদ দিয়ে রান্না করে খাই) পদ্ধতি ১. প্রথমে ঠোট ভিজিয়ে ভালো করে টুথব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন। ২. এইবার দুধ আর হলুদ এর পেস্ট করে নিন। ৩. ঠোটে মিশ্রনটি মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে নিন। ৪. ঠোটে ক্রীম লাগিয়ে আয়নার সামনে দাড়িয়ে দেখুন ম্যাজিক....

Sunday, July 24, 2016

ঘরে বসে ফেসিয়াল

প্রতিদিন বাহিরে ঘুরাঘুরির ফলেআমাদের ত্বকে অনেক ময়লা জমে। যা ফেসওয়াস দিয়ে দূর করা যায়না। সপ্তাহে অন্তত একদিন হলেও আমাদের ফেসিয়াল করা দরকার। কিন্ত ফেসিয়াল করতে পার্লারে যেতে হবে এই ভয়ে অনেকেই ফেসিয়াল করতে চায় না। ঘরে বসেই ফেসিয়াল করার নিয়ম আমি আজ লিখব। চলুন দেখে নেই কি করে ঘরে বসে ফেসিয়াল করতে হয়.....০১ ##ক্লিনজিং## সমস্ত মুখমন্ডল ফেসওয়াস দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। বাজারের পণ্য ব্যবহার করতে না চাইলে তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা শশা ও শুষ্ক ত্বক হলে কাঁচা দুধ দিয়ে এ কাজটি সেরে নিতে পারেন । ০২ ##স্ক্রাব## ছোট ছোট দানাযুক্ত ফেস ওয়াস বা স্ক্রাবার দিয়ে সমস্ত মুখ ধুয়ে নিন কিংবা প্রাকৃতিক উপাদান চাইলে চালের গুড়া অথবা ডাল হাল্কা বাটা দিয়ে স্ক্রাব এর কাজ সেরে নিতে পারেন। তবে স্ক্রাব বেশী জোড়ে ঘসবেন না। ০৩ ##স্টিম## ফেসিয়ালের ক্ষেত্রে স্টিম বেশ জরুরী। এটি লোমকূপ খুলতে সাহায্য করে এবং ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করে। প্রথমে খুব অল্প পরিমাণ বাদাম তেল সারা মুখে মালিশ করে নিন। তারপর বাজারের পাওয়া যায় এমন স্টিমারের সাহায্যে স্টিম নিন অথবা যে কোন গরম পানির পাত্রে পাতলা কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে তার ভাপ নিতে পারেন। ০৪ ব্ল্যাক হেড পরিষ্কারকরণ একটা ব্ল্যাক হেড পরিষ্কারক যন্ত্র বা ক্লিপ বা চামচ দিয়ে সাবধানে এ কাজ করতে পারেন। যেহেতু লোমকূপ খোলা আছে তাই যন্ত্রের হালকা চাপেই উঠে আসবে ব্ল্যাক হেড । ৫ ##টোনিং## বাজারের টোনার দিয়ে টোনিং করতে পারেন। আর না চাইলে শশা বা টমেটোর রস দিয়ে টোনিং করতে পারেন। ০৬ ##মাস্ক## এবার হচ্ছে আসল কাজ; হোয়াইটেনিং মাস্কের ব্যবহার। মাস্ক অনেক ভাবেই ঘরে বানানো যায়। ১. ময়দা ১টে. চামচ ২. গুড়া হলুদ ২চা চামচ ৩. দুধ ৩ চা চামচ সব একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন। অয়েলি ত্বক হলে লেবু মিশিয়ে নিন। এই মাস্ক পুরো মুখে লাগিয়ে ঘুমিয়ে যা ১ ঘন্টার জন্য। চোখে শশা দিয়ে রাখতে পারেন। ১ ঘন্টা পর ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। ৭. ##ময়েশ্চারাইজার## সব শেষ মুখে ভাল ব্রান্ড এর ময়েশ্চারাইজার ক্রিম লাগিয়ে আয়নার সামনে দাড়িয়ে দেখুন ম্যাজিক।

Saturday, June 18, 2016

**ভ্যাট রং করার নিয়ম**

ভ্যট রং করার নিয়ম:

উপকরনঃ
১। ৪ গজ কাপড়
২। এক তোলা রং ৪ গজ কাপড়ের জন্য।
৩। হাইড্রোজ+কস্টিক সোডা প্রতি গজে আলাদা আলাদা এক তোলা করে। ৪ গজে ৪ তোলা।
৪। বালতি (কাপড় , ক্যামিকেল ও রঙ গুলানোর জন্য)
৫। হ্যান্ড গ্লোভস
৬। বাধার জন্য সুতা/ ডস্টিন/ রাবার ব্যান্ড

পদ্ধতিঃ

১। প্রথমে কাপড় মাড় মুক্ত করতে হবে।
 এর জন্য গরম পানি তে সাবান দিয়ে কাপড়টি ধুয়ে শুকাতে হবে।

.২। নিজের পছন্দ মত ডিজাইন করার জন্য কাপড়টিকে বাধতে হবে। যেই অংশ সাদা রাখতে চান সেই অংশ বাধতে হবে। যেই অংশে গিট দিবেন সেই অংশে রঙ ঢুকবে না।

.৩। অল্প গরম পানিতে রং
আলাদা বাটি /কাপে গুলে নিতে
হবে। (এইভাবে ৫/১০ মিনিট রেখে দিতে হবে)।

৪। কাপড় ভেজার জন্য প্রয়োজনমত ফুটন্ত গরম 
পানি প্লাস্টিকের বলে/বালতিতে
নিয়ে তাতে হাইড্রোজ+কস্টিক সোডা
দিতে হবে।

৫। এতে আগে থেকে গুলিয়ে রাখা রং ছেকে
দিতে হবে। ভালভাবে নেড়ে মাড় মুক্ত কাপড় দিতে হবে এবং ৮/১০ মিনিট
রেখে নারাচাড়া করতে হবে।(এমন ভাবে নাড়তে হবে যেন রঙ কাপড়ের ভেতর ভালো ভাবে ঢুকে)।

.৬। কাপড়টিকে ভালোবাবে ধুতে হবে যতক্ষন না পর্যন্ত সাদা পানি বের হয়।

.৭। এরপর কাপড়ের বাধন খুলতে হবে।  এবং এই কাপড়টিকে বাতাসে বা রোদে শুকাতে দিতে হবে,

 ৮। শুকালে স্ত্রি করতে হবে।.

#ব্লকের কেমিক্যাল মিশানোর নিয়ম#


নিউটেক্স/ডিপ কালার করতে:
১.নিউটেক্স-২চা চামচ/(পিজে-এক
ফোঁটা)
২.এপ্রিটন-২ "
৩.পিকচার-১ "
৪.এনকে-২"
৫.বাইন্ডার-২ "
৬.অকজেল-১
৭.রং-এক ফোটা পছন্দ মত
৮.গ্লিটার-১ "
হোয়াট পেস্ট/লাইট কালারের রং
বানাতে
১।হোয়াইট পেস্ট/টিটি--২ চা চামচ
২।বাইন্ডার-২"
৩।এপ্রিটন-২"
৪।এনকে-২"
৫।পিকচার-১"
৬।রং+গ্লিটার-১ আগের মত
সলিড গোল্ড/গোল্ডেন কালার
১.এম-৬০--২চা চামচ
২.এনকে-১"
৩. আপসন-১.৫"
৪.হলুদ +কমলা রং-এক ফোটা
(ঘোলাটে/এন্টিক কালার করতে
পিজে-১চা চামচ দিতে হয়।না করলে
দিবেন না)
******বি:দ্র:
১.ভালভাবে ক্যামিকেল মিক্স করে
তারপর রং মিক্স করতে হবে।
২.লাইট কাপরে-নিউটেক্স;ডিপ
কাপরে-হোয়াইট পেস্ট দিতে হবে।
৩.জরজেটে এপ্রিটন বেশি দিতে হবে।
৪.নিউটেক্স পেস্ট ঘন হয়ে গেলে--
বাইন্ডার দিয়ে পাতলা করতে হবে।
পাতলা হলে নিউটেক্স দিতে হবে।
৫.হোয়াইট পেস্ট ঘন করতে -হোয়াইট
পেস্ট/টিটি/এপ্রিটন &পাতলা করতে
বাইন্ডার দিতে হবে।
৬. আপসন গাড় করতে-এফ-৫৩ &পাতলা
করতে-বাইন্ডার/এনকে-২ দিতে হবে।
৭.ছাপা দেয়ার সময়-ফ্যান বন্ধ থাকবে।
৮.ক্যামিকেল+রং একটু বেশি গুলে
নিতে হবে।কারন রং ২বার গোলালে
আগেরটার সাথে মিলবে না।
৯.প্রতিবার ছাপা দেয়ার আগের
ডাইসে রং লাগিয়ে নদিতে হবে এক
পোসে ২ বার ছাপদিলে ২বারে
ছাপা পরবে না।
১০.ডাইস গুলো কাজের আগের ১৫
মি.পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
১১। কোন অবস্থাতেই ক্যামিকেলের
সাথে পানি মিক্স করা যাবে না।
১২.কাজ শেষে সব ধুয়ে শুকিয়ে রাখতে
হবে।
১৩.ব্লক প্রিন্টেড কাপরটি ১০-১২
দিনের আগের ধোয়া যাবে না।

কাপড়ে মাল্টি কালার করার নিয়ম


মাল্টি কালার করতে চাইলে
আপনাকে আগে নির্বাচন করতে হবে
কাজটি কিভাবে করতে চাইছেন। যদি
প্রুশিয়ান রং ব্যাবহার করেন তাহলে
আপনি খুবই সহজ ভাবে করতে পারবেন।। এখন
আসুন কিভাবে আপনি এই রঙটি
ব্যাবহার করবেন আপনার কাপড়টিতে।
প্রথমেই আপনি নির্বাচন করুন কিভাবে
ডিজাইন করবেন। যদি আপনি সাধারন
ভাবে করেন অর্থাৎ ফুটি ফুটি করে বা
একটু মোটা আর্ট করে যেভাবে ইচ্ছে
আপনি ঠিক সেইভাবে আপনার
কাপড়টিতে সুন্দর ভাবে তুলি বা ব্রাশ
দিয়ে এঁকে নিন। যে কয়টি কালার
ব্যাবহার করবেন সেইভাবে আপনি রং
গুলিয়ে আপনার পছন্দ মত আর্ট করা
যায়গায় রং গুলো লাগাবেন এপিঠ
ওপিঠ করে। অবশ্যই কয়েকটি ছোট ছোট
বাটিতে রং গুলো গুলিয়ে নিবেন ও
আলাদা রাখবেন। পারলে সেই কয়টি
তুলিও ব্যাবহার করবেন। ভুলেও একটি
রঙের তুলি আরেকটি রঙে সরাসরি
দিবেন না। পানি দিয়ে বার বার
ধুয়ে নিবেন(তুলি কম থাকলে বা ১ টি
তুলি থাক্লে)।তুলির মাপ হবে ১-৮
পর্যন্ত। আপনার কাজের জন্য যেটি
প্রয়োজন হবে সেই মাপের নিবেন।
মোটা কাজের জন্য একটু মোটা তুলি
নিবেন। চিকণ হলেও সমস্যা নেই আপনি
একটু মোটা করে কাজ গুলো করবেন।
এরপর রোদে শুখাতে দিবেন। রোদ
বলতে কড়া রোদ নয়, কেবল রঙটা
শুখানোর জন্য। ১২ বা ২৪ ঘণ্টা। চাইলে
আপনি কাজটা করার শেষে পেপার
দিয়ে মুড়িয়েও রেখে দিতে
পারেন,২ পিঠেই পেপার দিবেন।তবে
সাবধান থাকবেন কোন প্রকারই যেন
কালার গুলো কাপড়ের অন্য যায়গায়
না লাগে। ১/২ দিন ঐভাবে রেখে
দিবেন।
**অবশ্যই এক পাল্লা কাপড় নিতে হবে
অর্থাৎ কোন ভাজ হবেনা।
এইবার আসা যাক কিভাবে মাল্টি
কালারটি রঙে চুবাবেনঃ
১। আপনি যদি টাইডাই বা সুতা দিয়ে
বেধে কাজটি করতে চান তাহলে
কোন জটিল ফুল/লতাপাতা করবেন না।
যেগুলো খুব সহজেই সুই সুতা দিয়ে কাজ
ও বাধা যায় সেইসব কাজ গুলই করবেন।
তাহলে বাধতে আপনাদের সুবিধা
হবে। চাইলে আর্ট বা ডিজাইনটা করে
আগেই সুই দিয়ে সিলিয়ে নিতে
পারেন তাহলে বাধাটা সহজ ও সুন্দর
হবে। পরে করলে একটু কষ্ট কারন রঙের
জন্য কাপড়টি শক্ত হয়ে যায়। এরপর রঙে
চুবাবেন।
২। আর যদি আপনি টাইডাই না করতে
চান তাহলে মোম দিয়ে কাজটি
ঢেকে দিতে পারেন। এখানে আপনি
আপনার মনের মাধুরী মিসিয়ে আর্ট
করতে পারবেন তবে অবশ্যই মাথায়
রাখবেন মোম যেন ভালভাবে লাগে
(কাপড়ের ২ পিঠেই লাগাতে হবে)
এবং অনেক মোটা করে লাগাতে
হবে। মোম পুরা কাপড়ে লাগাতে
পারেন কিংবা আর্ট করা যায়গায়
কেবল লাগাতে পারেন ইচ্ছে । পুরো
কাপড়ে মোম লাগানো শেষ হলে
কিছুক্ষণ মেলে দিয়ে মোমটা
কাপড়ে বসতে দিবেন, চাইলে ১দিন
পরেও রং (শেষে যে রংএ চুবাবেন)
করতে পারেন। আর অবশ্যই একটু মুচড়িয়ে
বা কাপড়টি দলাপেছা করেও রাখতে
পারেন, ক্রেক হবে। এরপর আপনার পছন্দ
মত রঙে চুবাতে পারেন।
*** এটা কেবল প্রুশিয়ান মাল্টি
কালারের নিয়ম। আপনি চাইলে ভেট
বা সালফার ব্যাবহার করেও করতে
পারেন তবে সেইটা আপনি করবেন
কয়েকটি কালারে চুবিয়ে এবং
আগের রঙটি/ কালারটিকে পলিথিন
দিয়ে বেধে বা সুতা দিয়ে বেথে।

কাপড়ে ব্রাশ বাটিক করার নিয়ম

বাটিক এর কয়েকটি
বিভাগ/শ্রেণী,,,, যেমন-
১। মোম বাটিক/ফাঁটা
বাটিক,
২। ভেজিটেবল ডাইং,
৩। ব্রাশ বাটিক,
৪। প্রুশিয়ান ব্রাশ বাটিক,
৫। মাল্টি কালার টাইডাই
আজকে আমরা ব্রাশ বাটিক
সম্বন্ধে শিখবো।
উপকরণঃ
১। ফাইনগাম- ৫গ্রাম
২। কাপড় কাচার সোডা- ২ চা
চামচ
৩। খাবার লবন- ৩চা চামচ
৪। কাপড়- এক গজ/এক টুকরা
৫। ট্রেসিং পেপার-
ডিজাইনের লে-আউট
নিখুঁতভাবে আঁকার জন্য
৬। কার্বন পেপার - ঐ (আঁকার
জন্য)
৭। কাঠের ফ্রেম- কাপড়ের
সাইজ অনুযায়ী
৮। চিকন তুলি
৯। ছোট ছোট বাটি
(এক্ষেত্রে জল রং এর ছবি
আঁকার জন্য ৬ খোপ ওয়ালা
মশলার প্লেটের মত প্লেট
হলে ভালো হয়।)
১০। প্রুশিয়ান রং- যে রং এর
ডিজাইন করতে চান
১১। পানি- প্রয়োজনমত।
উপকরণ প্রাপ্তিস্থানঃ
ঢাকার গাউসিয়া
মার্কেটের উল্টোপাশের
সাতরং বিল্ডিং।
যে ধরনের কাপড়ে করা
যাবেঃ
এই বাটিক সবচেয়ে ভালো হয়
রাজশাহী সিল্ক কাপড়ে।
তবে,
সাধারন ভয়েল কাপড়েও করা যায়।
পদ্ধতি চার্টঃ
বর্ণনাঃ
প্রথমে এক গজ বা ইচ্ছামত এক
টুকরা কাপড় নেই। এর উপর যে
ডিজাইনটি করতে চাই তা
প্রথমে ট্রেসিং পেপারে
তুলে নিই। তারপর কার্বন
পেপারের সাহায্যে
ডিজাইনটি কাপড়ে তুলে
নেই। ১০০ গ্রাম পানিতে ৫
গ্রাম ফাইনগাম ১২ ঘন্টা বা
২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখি। ১২
ঘন্টা ভেজালেই চলে।
সকালে একটি বাটিতে ২ চা
চামচ লবন অল্প পানির
সাহায্যে গুলিয়ে
ফাইনগামের বাটিতে গুলাই।
অপর একটি বাটিতে অল্প একটু
পানি (আন্দাজে ১/২ চা
চামচ) দিয়ে ১ চা চামচ
পরিমাণ রং গুলাই। রং গাঢ় ও
ঘন তরল করার জন্য বেশি রং
এর সাথে কম পানি নিয়ে
গুলাবো। কাপড়টি বড় কাঠের
ফ্রেমে শক্ত করে আঁটকে
নেবো। তাহলে রং
ভালোভাবে বসবে ও
কাপড়ের প্রতিটি সুতোর
ভেতরে রং ঢুকবে। তারপরে,
গুলানো ফাইনগামে রং
ঢেলে ভালোভাবে গুলিয়ে
ঐ রং এ ব্রাশ বা তুলি ছুঁয়ে
ছবিটি এঁকে নেব। আঁকা হয়ে
গেলে ফ্রেমে আটকানো
অবস্থায়ই কাপড়টিকে রোদে
শুকাতে হবে কমপক্ষে ১২
ঘন্টা বা খুব বেশি হলে দুই
দিন।
শুকানোর কাজ শেষে ৩
লিটার পানিতে অর্ধেক হুইল
সাবান দিয়ে জ্বাল দিতে
হবে ৫/৭ মিনিট। এই
পরিমাণটা নির্দিষ্ট, বড় ছোট
সব সাইজের কাপড়ের
ক্ষেত্রে পরিমাণ একই। তবে,
সাবান কম-বেশি নিলেও
চলে। সবশেষে ঠাণ্ডা
পানিতে ভালোমত ধুয়ে
রোদে শুকাতে হবে।

#ক্লে বানানোর নিয়ম#

# ক্লে_বানানোর_প্রসেসঃ
বভিন্ন ভাবে ক্লে বানানো যায়।
 আমি আমার জানা সহজ
প্রসেস'টা দিলাম।এই
ক্লে'টা ফ্রিজ ছাড়াই ২-৩ মাস ভাল
রাখতে পারবেন। শুধু নিয়ম মত বানাতে
হবে আর সংরক্ষন করতে হবে।।
ক্লে বানাতে যা যা লাগবেঃ
★কর্নফ্লাওয়ার→১ কাপ
★MR আঠা→১ কাপ
★বেবি অয়েল→ ১ টেবিল চামচ
★ভিনেগার→ ১ টেবিল চামচ
★গ্লিসারিন→১ টেবিল চামচ
★পেট্রলিয়াম জেলি→ ১ টেবিল
চামচ
# বানানোর পদ্ধতিঃ
উপকরণ গুলো খুব ভাল করে মিশিয়ে
ননস্টিকি প্যানে নিয়ে চুলায় খুব অল্প
আঁচে ১০-১২ মিনিট রান্না করতে হবে।
যখন দেখবেন ক্লে টা ময়দার ডো-এর মত
ঘন হয়ে গেছে এবং হালকা ছেরে
ছেরে আসছে তখন চুলা থেকে
নামিয়ে ভাল মত ময়ান করতে হবে। যে
পাত্রে ময়ান করবেন সেই পাত্রে
ক্রিম মেখে নিবেন। তাহলে আর
পাত্রে লেগে যাবে না। ভালমতো
ডো টা রেডি হবে।
# রঙ করার পদ্ধতিঃ
এর জন্য লাগবে সানফ্লাওয়ার কিট
কালার বা এক্রালিক কালার।
ক্লে এর ডো নিয়ে তাতে কিছুটা রঙ
লাগিয়ে ভাল করে হাত দিয়ে
মাখতে হবে। তাহলেই ক্লে কালার
হয়ে যাবে।
# সংরক্ষণঃ
বিভিন্ন কালারের ক্লে আলাদা
ভাবে পলি-প্যাকে ভাল মতো
মুরিয়ে নিতে হবে। যাতে ভেতরে বাতাস না ঢুকে।
এবার এই ক্লে গুলো এয়ার-টাইট বক্সে
রেখে দিলে ২-৩ মাস ভাল থাকবে।

#মোম বাটিক প্রিন্ট করার নিয়ম#


* প্রথম ধাপ
১. মাড় ছাড়া সমান কাপড়ে
নকশা আঁকতে হবে। প্রথমে
পেন্সিল দিয়ে নকশা এঁকে
নিতে হবে যাতে ভুল হলে
তা রাবারের সাহায্যে মুছে
ফেলা যায়। আঁকা শেষ হলে
এর উপর কলম দিয়ে আঁকতে হবে।
২. এবার যে অংশে কাজ করা
হবে সেটা টান টান করে
ফ্রেমে অথবা পিন দিয়ে
আটকাতে হবে।
৩. চুলার উপর পাত্রে ৪ ভাগ
প্যারাফিন, ২ ভাগ মধু মোম আর
১ ভাগ রজন মিশিয়ে গলিয়ে
নিতে হবে। গলা মাত্র পাত্র
চুলা থেকে নামিয়ে তুলির
সাহায্যে মোম নকশায়
লাগাতে হবে। নকশার যে সব
অংশে রঙ করা হবে না শুধু
সেখানে মোম লাগাতে
হবে। মোম জমে গেলে পাত্র
আবার চুলায় দিতে হবে।
৪. ভুল জায়াগায় মোম পড়ে
গেলে তার উপর চোষ কাগজ
রেখে গরম ইস্ত্রি ধরলে
বাড়তি মোম উঠে যাবে।
৫. প্রথম পিঠে মোম
লাগানোর পর উল্টো পাশে
একই জায়গায় মোম লাগাতে
হবে। এরপর আবার প্রথমে
যেখানে মোম লাগানো
হয়েছিল সেখানে মোম
লাগাতে হবে।
৬. তুলির বদলে জান্টিং (সরু
নলওয়ালা হাতলসহ ছোট পাত্র)
দিয়েও মোম লাগানো যায়।
এক্ষেত্রে জান্টিং-এ গলা
মোম নিয়ে সরাসরি মোম
দিয়েই কাপড়ে নকশা আঁকা
যায়।
৭. সব খানে মোম লাগানোর
পর ফ্রেম থেকে খুলে কাপড়টি
কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা ছায়ায়
রাখলে বা অথবা এক ঘণ্টা
পানিতে ডুবিয়ে রাখলে
কাপড়ে ভালো করে মোম
বসবে।
৮. বাজারে নানান রকম রঙ
কিনতে পাওয়া যায়। আবার
তৈরির নিয়ম শিখে নিয়ে
নিজেরাও নতুন রঙ তৈরি করা
যায়।
* দ্বিতীয় ধাপ
১. রঙ করার আগে কাপড়টি ১০
মিনিট ঠান্ডা পানিতে
ভিজিয়ে রাখতে হবে।
২. যে পাত্রে রঙ করা হবে সে
পাত্রে ১ ছটাক ফুটন্ত গরম
পানিতে রঙ গুলিয়ে নিতে
হবে। কাপড়টি যাতে
ভালোভাবে ভিজে তাই এর
মধ্যে পরিমাণ মতো ঠান্ডা
পানি দিতে হবে। এরপর কাপড়
দিয়ে ১৫ মিনিট কাপড়টি
নাড়াচাড়া করতে হবে।
৩. গামলা থেকে কাপড়টি
উঠিয়ে ঐ রঙের পানিতে ৯
চামচ লবণ গুলিয়ে কাপড়টি
আবার ১৫ মিনিট রঙের
পানিতে ভিজিয়ে রাখতে
হবে।
৪. কাপড়টি রঙের পানি
থেকে তুলে ঐ রঙের
পানিতে ২ চামচ সোডা গুলে
কাপড়টি আবার ১৫ মিনিট
রঙের পানিতে ভিজিয়ে
রাখতে হবে। এরপর কাপড়টি
নেড়েচেড়ে আবার ১৫
মিনিট ভিজিয়ে রাখতে
হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন
মোম ঢাকা অংশগুলোতে
বেশি চাপ না লাগে।
৫. এরপর কাপড়টি পানি থেকে
তুলে ২৪ ঘণ্টা ছায়ায় রেখে
শুকিয়ে নিতে হবে।
৬. শুকনো কাপড়ের মোম
ছাড়ানোর জন্য ৩০ মিনিট
ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে
রাখতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত রঙ
না উঠে ততক্ষণ পর্যন্ত বেশি
করে ঠান্ডা পানি নিয়ে
কাপড় ধুতে হবে।
৭. ফুটন্ত সাবান মেশানো
পানিতে কাপড়টি পাঁচ
মিনিট নাড়াচাড়া করলে
মোম উঠে যাবে।
৮. মোম ছাড়ানো শেষ হলে
কাপড়টি ঠান্ডা পানিতে
পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে
হবে।
৯. এরপর কাপড় ছায়ায় শুকিয়ে
নিতে হবে। মাড় দিয়ে কাপড়
শুকিয়ে নিয়ে ইস্ত্রি করলে
বাটিকের কাজ শেষ।
১০. নকশার বিভিন্ন অংশ ভিন্ন
ভিন্ন রঙ করতে হলে বহু রঙের
বাটিকও করা যায়।
* সাবধানতা
কাপড়ে মোম লাগানোর সময়
সাবধান থাকতে হবে যেন
নকশার বাইরে মোম ছড়িয়ে
না যায়।

ব্লক প্রিন্ট এর প্রয়োজনীয় উপকরন ও প্রাপ্তিস্থান, মূল্য ও পরিমান

উপকরন, পরিমান ও প্রাপ্তিস্থান:
১। কাঠের টেবিল ১টি ৩০০-৫০০ টাকা(ঘড়ের মেঝেতে ও করা
যাবে)
২. কাঠের ব্লক
৪/৫টি ৫০০-৬০০( হার্ডওয়ারের দোকান)
৩. রঙের ট্রে ২টি ১০০-১৫০( হার্ডওয়ারের
দোকান)
৪. ব্রাশ ২/৩টি ৬০-১০০( হার্ডওয়ারের
দোকান)
৫. পুরাতন কম্বল ১টি ৫০-৬০ পুরানো গরম/
শীতের
(কাপড়ের দোকান)
৬. প্লাস্টিকের
বাটি
১টি ১০-১৫ (তৈজসপত্রের দোকান)
৭. চামচ ১টি ১০-১৫( তৈজসপত্রের দোকান)
৮. মোটা মার্কিন
কাপড়
১ গজ ৪০-৪৫( কাপড়ের দোকান)
মোট =
১০৭০-১৪৫৮ টাকা
ঢাকা নিউমার্কেটের রং এর দোকানে
গেলে সব ওখান থেকে নেয়া যাবে
* কাঁচামাল
১. থ্রি পীছ ৫টা
২. হোয়াইট পেস্ট ২০০ গ্রাম ১৫০-১৭০
৩. একরামিন ২০০ গ্রাম ১০০-১২০
৪. বাইন্ডার ২৫০ গ্রাম ৪০-৪৫
৫. অকজেল ১০০ গ্রাম ৫০-৬০
৬. এন কে ১০০ গ্রাম ২০০-২৫০
৭. রঙ (২/৩ রঙ) পরিমাণমতো৪০-৫৫টা

কাপড়ে ব্লক প্রিন্ট করার নিয়ম


কাপড়ে ব্লক প্রিন্ট করার নিয়ম:
১. কাপড় ব্লক প্রিন্ট করার আগে
কাপড় ধুয়ে মাড় ছাড়িয়ে নিতে
হবে।
২. প্রথমে টেবিলে চট বিছিয়ে
নিতে হবে। চটের উপর একটি
মোটা পশমী কম্বল বা কাঁথা
বিছিয়ে তার উপর যে কাপড়ে
ব্লক প্রিন্ট করা হবে সেটা
বিছিয়ে নিতে হবে। ব্যবসার
শুরুতে টেবিলের পরিবর্তে
মাটিতে বা ঘরের মেঝেতেও
এইভাবে কাপড় বিছিয়েও ব্লক
প্রিন্ট করা যায়।
৩. টেবিল বা মেঝের একপাশে
রঙের ট্রে রাখতে হবে। ট্রের
মাঝে পুরাতন কম্বলের টুকরাটি
রাখতে হবে।
৪. এখন একটা পাত্রে রঙের সব
উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে
নিয়ে ব্রাশ দিয়ে ট্রের মাঝের
কম্বলে ভালোভাবে ছড়িয়ে নিতে
হবে।
৫. ট্রের ভেতরের কম্বলে চাপ
দিয়ে কাঠের ব্লকটিতে
ভালোভাবে রঙ লাগাতে হবে।
৬. এর পর ঐ ব্লক দিয়ে কাপড়ের
যেখানে নকশা করতে হবে
সেখানে জোরে চাপ দিয়ে
উঠিয়ে ফেললেই কাপড়ে নকশা
হয়ে যাবে।
৭. কাপড়টি বাতাসে কিছুক্ষণ
মেলে রেখে রঙ শুকিয়ে গেলেই
উঠিয়ে ফেলতে হবে।
* সাবধানতা
১. ভালো ডিজাইনের ব্লক সংগ্রহ
অথবা তৈরি করতে হবে।
২. রঙ পরিমাণ অনুযায়ী মেশাতে
হবে। তা না হলে কাপড়ে নকশার
রঙ তাড়াতাড়ি উঠে যাবে।
৩. ব্লকে রঙ ঠিকমতো লেগেছে
কিনা তা খেয়াল রাখতে হবে।
৪. নকশাটা ঠিকমতো বসাতে হবে।